আশিক সায়েম: লাখ লাখ মানুষের চোখের পানি ঝরানো ভাইরাসটির নাম করোনা ভাইরাস। জনবহুল ক্ষুদ্র অর্থনীতির এই বাংলাদেশে করোনাকাল কতদিন স্থায়ী হতে পারে তা বলা যাচ্ছে না। করোনা অনিশ্চয়তার কবলে কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি। বর্তমানের মহামারি পরিস্থিতিতে কৃষকগোষ্ঠীকে যেসকল সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তা হল:
ক) লকডাউনের কারণে খাদ্য পরিবহণ ও গুদামজাতকরণে সমস্যা
খ) কৃষি শ্রমিক সংকট
গ) কৃষি শ্রমিকের দৈনিক মজুরি বেড়ে যাওয়া
ঘ) কৃষিজ উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা
উ) দুগ্ধ খামারীদের সংকট, গরুর দুধের দাম কমে যাওয়া, মুরগির ডিমের দাম কমে যাওয়া
চ) উন্নতমানের সবজি বীজের অভাব হওয়া
খ) কৃষি শ্রমিক সংকট
গ) কৃষি শ্রমিকের দৈনিক মজুরি বেড়ে যাওয়া
ঘ) কৃষিজ উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা
উ) দুগ্ধ খামারীদের সংকট, গরুর দুধের দাম কমে যাওয়া, মুরগির ডিমের দাম কমে যাওয়া
চ) উন্নতমানের সবজি বীজের অভাব হওয়া
তাহলে এই কৃষি সংকটের সমাধান কি?
সমাধান হল- কৃষিভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক ইউনিট তৈরি করা! এটাই এখন সময়োপযোগী ও কার্যকরী সমাধান। তরুণসমাজ ও ছাত্রসমাজই পারে কৃষিভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক ইউনিট গঠন করতে।
♦ কৃষিভিত্তক স্বেচ্ছাসেবক ইউনিট যা করতে পারে তা হল:
ক) উৎপাদন সমবায় সমিতি ও ভোক্তা সমবায় সমিতির আইডিয়াকে কাজে লাগানো।
খ) যদি সম্ভব হয় সামাজিক ব্যবসায়ের ইউনিটে ভাগ করে কৃষকের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা।
গ) জাতীয় পর্যায়ে সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষি পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের তথ্য রাখা
ঘ) স্বেচ্ছাসেবকগণ কৃষকের কাজকে মোবাইল অ্যাপের আওতায় নিয়ে আসবেন
ঙ) প্রান্তিক চাষীদের পণ্য ক্রয় করে চূডান্ত ভোক্তার কাছে এই লকডাউনে পণ্য পৌঁছে দিতে পারলে মধ্যস্বত্বভোগী দালালদের দৌরাত্ম্য কমে আসবে।
চ) মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে কৃষি পণ্যের মূল্য পরিশোধ করতে পারলে কৃষকেরা স্বয়ংক্রিয় ব্যাংকিং পদ্ধতির আওতায় চলে আসবে।
ছ) সুদবিহীন ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান করতে পারলে পণ্য উৎপাদনে কৃষকেরা উৎসাহিত হবেন।
এভাবে কৃষকেরা করোনাকালে অনেকভাবে উপকৃত হবেন।
জ) কৃষি লাইব্রেরি গঠনের মাধ্যমে নতুন নতুন অর্গানিক ও অর্থকরী ফসল উৎপাদন করে কৃষিকে আধুনিকীকরণ করা যাবে শুধুমাত্র তরুণ প্রজন্মের মাধ্যমে।
খ) যদি সম্ভব হয় সামাজিক ব্যবসায়ের ইউনিটে ভাগ করে কৃষকের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা।
গ) জাতীয় পর্যায়ে সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষি পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের তথ্য রাখা
ঘ) স্বেচ্ছাসেবকগণ কৃষকের কাজকে মোবাইল অ্যাপের আওতায় নিয়ে আসবেন
ঙ) প্রান্তিক চাষীদের পণ্য ক্রয় করে চূডান্ত ভোক্তার কাছে এই লকডাউনে পণ্য পৌঁছে দিতে পারলে মধ্যস্বত্বভোগী দালালদের দৌরাত্ম্য কমে আসবে।
চ) মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে কৃষি পণ্যের মূল্য পরিশোধ করতে পারলে কৃষকেরা স্বয়ংক্রিয় ব্যাংকিং পদ্ধতির আওতায় চলে আসবে।
ছ) সুদবিহীন ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান করতে পারলে পণ্য উৎপাদনে কৃষকেরা উৎসাহিত হবেন।
এভাবে কৃষকেরা করোনাকালে অনেকভাবে উপকৃত হবেন।
জ) কৃষি লাইব্রেরি গঠনের মাধ্যমে নতুন নতুন অর্গানিক ও অর্থকরী ফসল উৎপাদন করে কৃষিকে আধুনিকীকরণ করা যাবে শুধুমাত্র তরুণ প্রজন্মের মাধ্যমে।
কৃষি ফিল্ড অফিসাররা যাতে সাহস নিয়ে কাজ করে এজন্য ঝুঁকি ভাতা দিয়ে উৎসাহিত করতে বর্তমান সরকারের প্রতি আহবান রইল।
যদিও বেকার তরুণেরা কৃষিভিত্তিক শ্রমঘন কাজে অনভিজ্ঞ, সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে স্বেচ্ছাসেবকরা কৃষি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে কৃষকদের দ্রুত সমাধান দিতে পারবেন।
যদিও বেকার তরুণেরা কৃষিভিত্তিক শ্রমঘন কাজে অনভিজ্ঞ, সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে স্বেচ্ছাসেবকরা কৃষি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে কৃষকদের দ্রুত সমাধান দিতে পারবেন।
পরিশেষে বলা যায়, করোনাকালে লকডাউনের এই কঠিন পরিস্থিতিতে শিল্পভিত্তিক অর্থনীতির যে মন্দা আমরা দেখতে পাচ্ছি তার বিকল্প হিসেবে কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি আমাদেরকে আশার পথ দেখাবে। কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি হবে দুর্ভিক্ষ থেকে আমাদের বাঁচার একমাত্র উপায়।