ইংরেজীতে একটি word আছে “PROGRESS” যার Noun করলে হয় প্রগতি এবং Verb করলে হয় অগ্রসর হওয়া। Modes of Progress অর্থ অগ্রসরটা কিভাবে হচ্ছে তা বের করা (দৌড়ে হচ্ছে, হেটে বা হামাগুড়ি দিয়ে হচ্ছে বুঝাচ্ছে)। “PROGRESS” শব্দটি কিন্তু এক্ষেএে ভিন্ন ভিন্ন অর্থ প্রকাশ করছে। শব্দটির ইতিবাচক দিকটি ভাল, নেতিবাচক দকটি খারাপ। একজন ঘুষখোর যদি ঘুষ খায় তাহলে তাও প্রগতি বুঝায়, সুদখোর যদি রক্ত চুষে খায় তাও প্রগতি! একজন নেতা যদি সম্দের পাহাড় তৈরি করে তাও প্রগতি! তার মানে যেভাবেই হোক দেশের মানুষের আয় বৃদ্ধিকেই বলে প্রগত ? উওর হল না। এবার আমি বুঝাব যে প্রগতি শব্দটাকে ব্যবহার করে কিভাবে কৃষকদের বেহাল দশা হচ্ছে ঃ
১. কৃষি জমি কমিয়ে রাস্তা
হচ্ছে বাড়ি হচ্ছে, তার মানে কোথায় প্রগতি হচ্ছে ? তাহলে খাদ্য উৎপাদন কোথায় হবে?
২. সেবাখাতের পাশাপাশি
কৃষি খাতের উন্নতি হচ্ছেনা, অর্থাৎ সেবা খাতের পাশে কৃষিখাত
আগের অবস্থায় রয়ে গেছে।
৩. ভর্তুকি কৃষিখাতে
তেমনটা পাওয়া যায়না, আর পাওয়া গেলেও তা দুর্নীতিগ্রস্থ হচ্ছে।
৪. ডাম্পিং এর মাধ্যমে
পার্শবর্তী দেশগুলো বাংলাদেশের কৃষকদের ফসলের দামের ব্যপক ক্ষতি করছে, যার ফলে
কৃষকদের আয় উন্নতি বৃদ্ধি পাচ্ছেনা
৫. বৈজ্ঞানিক চাষাবাদ
পদ্ধতিকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেনা
৬. কৃষকদের চাষযোগ্য জমির
কোন তথ্যগত পরিসংখ্যান নেই, যার ফলে নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ স্বল্পমূল্যে কৃষি জমি ক্রয় করে তা দখল করে নিচ্ছে, তা সেবাখাতে ব্যবহার করে প্রগতি
আনছে, কৃষকদের দারিদ্র হিসেবে রেখে দিয়ে তাদের পুষ্টিহীনতায় রেখে দিচ্ছে,
পৃষ্ঠপোষক হিসেবে এগিয়ে আসছেনা।
৭. রাসায়নিক
সারের যথেচ্ছা ব্যবহার ও অবৈজ্ঞানিক চাষাবাদের কারণে জম তা স্বাভাবিক উর্বরতা হারাচ্ছে।
আর ভোক্তাবৃন্দ রাসায়নিক খেয়ে সারে উৎপাদিত ফসল খেয়ে
ক্যানসারসহ নানারকম নতুন নতুন রোগে পরোক্ষভাবে আক্রান্ত হচ্ছে।
উপরিউক্ত
সমস্যাগুলোকে চিহ্নিত করে তার সমাধানে ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা চালাচ্ছে কৃষকের বাজার সংগঠন ও এর খাদ্যঋণ
কর্মসূচী। এই স্বেচ্চসেবী সংগঠনকে কাজে লাগিয়ে আপনারাও পারেন বাংলাদেশের কৃষকদের
প্রয়োজনে এগিয়ে আসতে।
আশিক সায়েম (কৃষকের
বাজার সংগঠনের উদ্যোক্তা)